সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নতুন করে ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’ প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বৃহস্পতিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির পক্ষে এ দাবি জানান হেলথ সিস্টেম রিসার্চ ডিভিশন অ্যান্ড আরটিআই প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ ইউনিটের পরিচালক সেলিম মাহমুদ চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সেলিম মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘জাতিসংঘ ঘোষিত ডিকেড অফ অ্যাকশন ফর রোড সেফটি ২০২১-২০৩০-এ উল্লেখিত বিষয়সমূহ বিশেষ করে সেফ সিস্টেম অ্যাপ্রোচ অন্তর্ভুক্ত করার আলোকে নতুন সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করতে হবে।’
তিনি জানান, এ আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সড়ক ব্যবহারকারীদের জীবনের নিরাপত্তা, সড়ক দুর্ঘটনাজনিত মানুষের মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের হার হ্রাস, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ৩.৬ ও ১১.২ অর্জন ও সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন ও পরিবেশের উন্নয়ন নিশ্চিত হবে।
বাংলাদেশের প্রচলিত সড়ক পরিবহন আইন- ২০১৮-এ বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমান আইনটিতে মূলত পরিবহন ব্যবস্থার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এতে প্রচলিত সড়ক ব্যবহারকারীর আচরণগত ঝুঁকিসমূহ, যেমন: বেপরোয়া গতি, হেলমেট ব্যবহার না করা, মদ্যপ বা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো, সিটবেল্ট বা চাইল্ড রেস্ট্রিয়েন্ট ব্যবহার না করার মতো বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা যথাযথভাবে উল্লেখ করা হয়নি।’
প্রচলিত আইনে জাতিসংঘ ঘোষিত ডিকেড অফ অ্যাকশন ফর রোড সেফটি ২০২১-২০৩০-এ উল্লেখিত মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট বা বহুমুখী পরিবহন ব্যবস্থা ও ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা, নিরাপদ সড়ক অবকাঠামো, নিরাপদ যানবাহন, নিরাপদ সড়ক ব্যবহারকারী এবং সড়ক দুর্ঘটনা পরবর্তী সাড়া প্রদান ও ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বের বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, “শুধু আইন করলেই হবে না, আইনের বাস্তবায়ন করতে হবে। সড়কে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য জাতিসংঘ যে মডেল দিয়েছে তার আলোকে আমরা নতুন ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’ প্রণয়নের দাবি জানাচ্ছি।”